ডাল রান্না একটি সাধারণ পদ্ধতি মনে হলেও এটি কিন্তু অতি সাধারণ নয়। কারণ ডাল রান্না রেসিপি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এখানে ২৩ টি নানান প্রকারের ডাল আপনার জিভে জল আনবেই।
ডাল আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন খেয়ে থাকি তাই এই ডাল রান্না অজানা রেসিপি আপনাদের জানা দরকার।
২৩ টি সুস্বাদু ডাল রান্না রেসিপি তালিকা:
১। চিংড়িমাছ দিয়ে মুগ ডাল রান্না :
উপকরণ –
- মুগডাল ১ কাপ,
- মাঝারি মাপের চিংড়ি ১ কাপ,
- পেঁয়াজ কুচি ২টি, রসুনবাটা ৪ কোয়া,
- কাঁচালঙ্কা চেরা ৬-৮টি, আদাবাটা ২ চা চামচ,
- টম্যাটো ১টি, তেজপাতা ২টি,
- সাদাজিরে ১চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ২চা চামচ,
- লঙ্কাগুঁড়া ২চা চামচ,
- ঘি ১চা চামচ, ছোট এলাচ ২টি,
- লবঙ্গ ২টি,
- দারুচিনি ১টি,
- তেল ও নুন পরিমাণমত।
রান্না করার পদ্ধতি –
ডাল ভাল করে ভেজে ধুয়ে সেদ্ধ করে রাখুন। চিংড়ি মাছ খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে চিংড়ি মাছ ভেজে তুলে রাখুন।
আবার কড়াইতে দুই টেবিল চামচ তেল গরম করে জিরে, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি লাল করে ভাজুন।
রসুন দিয়ে ঘি, লঙ্কা, হলুদ, আদা ও টম্যাটো দিয়ে কষুন। মাঝে মাঝে অল্প জল দিন। এবার ভাজা চিংড়ি দিয়ে ডাল ঢেলে দিন। বেশ করে ফুটে উঠলে কাঁচালঙ্কা দিয়ে নামিয়ে নিন।
২। মোচার ডাল :
উপকরণ –
- মুগডাল ৫০০ গ্রাম,
- মোচা ১টি,
- পেঁয়াজ ১টি, আদা ১ টুকরো,
- হলুদ গুঁড়ো ১/২চা চামচ,
- লঙ্কাবাটা ১চা চামচ, জিরে বাটা ১চা চামচ,
- সাদা জিরে,
- তেজপাতা ফোড়নের জন্য,
- নুন,
- চিনি ঘি ও গরমমশলা আন্দাজমত।
রান্না করার পদ্ধতি –
মোচা কুচিয়ে অল্প ভাপিয়ে জল ঝড়িয়ে নিন। মুগডাল বেশ করে ভেজে নুন, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে রাখুন। পেঁয়াজ আদা মিহি করে বেটে নিন।
কড়াইতে তেল গরম করে জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, লঙ্কাবাটা, আদাবাটা, জিরেবাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে সেদ্ধ করা মোচা দিয়ে ভাল করে কষতে থাকুন।
আবার সেদ্ধ মুগডাল ঢেলে চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে ঘি ও গরমমশলা দিয়ে নামিয়ে নিন।
৩। বিউলি ডালের তরকা:
উপকরণ –
- খোসাশুদ্ধ বিউলির ডাল ৫০০ গ্রাম,
- নারকেল একমালা, পোঁয়াজ, আদা,
- রসুন,
- লঙ্কা,
- হলুদ,
- সাদা জিরে,
- ডিম,
- সামান্য চিনি,
- আলু,
- গাজর,
- বীট,
- টম্যাটো।
রান্না করার পদ্ধতি-
ডালগুলো একটু ভেজে নিয়ে জল দিয়ে ঢাকা দিন। ডাল সেদ্ধ হলে হলুদ, লঙ্কা, আদাবাটা, অল্প ঘি বা তেল মাখিয়ে সেদ্ধ করা ডাল ঢেলে রাখুন।
এবার বীট, গাজর, আলু অল্প সেদ্ধ করে কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুটি সহ তরকারি ভাজুন।
বেশ ভাজা ভাজা হয়ে গেলে থালায় রাখা সেদ্ধ ডাল কড়াইতে দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে অল্প জল দিন।
ডাল ফুটতে থাকলে দু-চারটি ডিম ভেঙে দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।
৪। মাংসের ডাল রান্না :
উপকরণ –
- ছোলার ডাল ১ কিলো,
- মটন ৭৫০ গ্রাম,
- পেঁয়াজ ৩০০ গ্রাম কুচানো ,
- আদাবাটা বড় ১ চামচ,
- রসুন ১ কোয়া,
- ২টি ছোট এলাচ,
- ৩টি দারুচিনি,
- টম্যাটো ২৫০ গ্রাম,
- তেল ১/৩ পেয়ালা,
- ভাজা জিরের গুড়ো ৪চা চামচ,
- কাঁচালঙ্কা কয়েকটা।
রান্না করার পদ্ধতি –
ছোলার ডাল আধ সিদ্ধ করে জল শুদ্ধ নামিয়ে রাখুন। মাংসটা ছোট ছোট কুচি করে কেটে নিন।
কড়াইতে তেল গরম করে গরম মশলা ও রসুন ছাচা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ছাড়ুন। পেঁয়াজ লাল করে ভেজে টম্যাটো কুচি ছাড়ুন।
বেশ ভাজা ভাজা হয়ে এলে মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে দিন, কিছুক্ষণ রান্না করে আদাবাটা, হলুদ দিয়ে ঢাকা দিন।
জল প্রায় শুকিয়ে এলে মাংসটাও তিনভাগ সেদ্ধ হয়ে আসবে তখন জলশুদ্ধ ডালটা ঢেলে দিন।
মাংস আর ডালসেদ্ধ হয়ে গেলে কড়াই নামিয়ে কাঁচালঙ্কা আর ভাজা জিরের গুড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন।
ইচ্ছে হলে মাংস কষাবার সময় শুকনো লঙ্কা বেটে দিতে পারেন। ভাত, রুটি, লুচি পরোটা দিয়ে খেতে বেশ লাগে।
মাংসের অন্যান্য রেসিপি দেখুন এখানে।
৫। মুগের কারি:
উপকরণ-
- ভাজা মুগডাল ২৫০ গ্রাম,
- মাঝারি মাপের ৪টি আলু বড় টুকরো করা,
- তেজপাতা, আদাবাটা, হলুদ,
- ধনেবাটা,
- ১টি পেঁয়াজ (ভেজে বাটা),
- তেল বড় ৩ চামচ,
- গোটা কাঁচালঙ্কা ৪টি,
- আস্ত গরম মশলা।
রান্না করার পদ্ধতি –
কড়াইতে তেল গরম করে তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে হলুদ, ধনেবাটা, আদাবাটা, পেঁয়াজবাটা দিয়ে কষে ভাজা মুগডালটা দিয়ে আর একটু কষুন।
৩ পেয়ালা জল দিন। জল ফুটে উঠলেই আলু, কুচানো পেঁয়াজ, আস্ত গরমমশলা দিয়ে সেদ্ধ করুন।
ডাল, আলু, পেঁয়াজ সেদ্ধ হয়ে বেশ ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে নামিয়ে সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৬। চিংড়ি মাছ দিয়ে মুসুর ডাল :
উপকরণ –
- মুসুর ডাল ১০০ গ্রাম,
- চিংড়ি ২০০ গ্রাম বড় কিংবা কুচো),
- রসুন কোয়া ৬-৭টি,
- কাঁচালঙ্কা চেরা ৪-৫টি,
- কালোজিরা ১চা চামচ,
- লঙ্কাগুঁড়ো ১চা চামচ,
- হলুদ গুঁড়ো ১চা চামচ,
- ধনেপাতা কুচি সামান্য।
রান্না করার পদ্ধতি –
চিংড়ি খোসা ছাড়িয়ে খুব পরিষ্কার করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে সামান্য তেলে লাল করে ভেজে নিন। কড়াইতে হলুদ ও লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ডালটা সিদ্ধ করে নিন।
তারপর অল্প তেলে থেঁতো করা রসুনের কোয়া ও কালোজিরে ফোড়ন দিন, গন্ধ বেরোলে কাঁচালঙ্কা দিয়ে ডাল ঢেলে দিন।
তারপর মাছ ও নুন দিয়ে ফুটতে দিন। এই ডাল খুব ঘনও হবে না আবার পাতলাও হবে না। নামাবার আগে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।
৭।পাঁচমেশালি ডাল রান্না :
উপকরণ –
- রাজমা ১০০ গ্রাম,
- ছোলার ডাল ৫০ গ্রাম,
- খোসাশুদ্ধ মুগডাল ২০ গ্রাম,
- পেঁয়াজ ২০০ গ্রাম,
- টম্যাটো ৪টি,
- জিরে সিকি চা-চামচ,
- তেল নুন পরিমাণমত।
রান্না করার পদ্ধতি –
একটি পাত্রে ডাল নিয়ে আঁচ কমিয়ে পাঁচ-ছয় ঘন্টা সেদ্ধ করুন। কড়াইতে তেল গরম করে জিরে ফোড়ন দিন।
টম্যাটো দিয়ে আবার ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না টম্যাটো গলে যায়। ডাল এতে ঢেলে ফুটতে দিন।
নুন দিয়ে আঁচ কমিয়ে আরও তিন-চার ঘন্টা ফোটান। গরম গরম পরিবেশন করুন।
৮। চিংড়ি ডাল:
উপকরণ –
- মুগডাল ১ কাপ,
- মাঝারি মাপের চিংড়ি ১ কাপ,
- পেঁয়াজ কুচি ২টি,
- রসুন বাটা ৪ কোয়া,
- কাঁচালঙ্কা চেরা ৬-৮ টি,
- আদাবাটা ২ চা চামচ,
- টম্যাটো ১ টি,
- তেজপাতা ২টি,
- সাদাজিরে ১ চা চামচ,
- হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ,
- লঙ্কাগুঁড়ো ২ চা চামচ,
- ঘি ১ চা চামচ,
- ছোট এলাচ ২ টি,
- লবঙ্গ ২ টি,
- দারুচিনি ১ টি,
- তেল ও নুন আন্দাজমত।
রান্না করার পদ্ধতি –
প্রথমে ডাল বেশ ভালো করে ধুয়ে ভেজে সেদ্ধ করে করতে দিন। চিংড়ি মাছ ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে একপাশে রাখুন।
কড়াইতে তেল দিয়ে চিংড়ি মাছগুলি ভেজে তুলে রাখুন । কড়াই এর মধ্যে দুই চামচ তেল গরম করে জিরে তেজপাতা ফোড়ন ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে লাল লাল করে ভাজুন।
রসুন, ঘি, লঙ্কা, হলুদ আদা ও টম্যাটো দিয়ে ভালোভাবে কষে নিন। মাঝে মাঝে অল্প জল দেবেন। এবার ভাজা চিংড়ি দিয়ে ডাল ঢেলে দিন। বেশ করে ফুটলে কঁচালঙ্কা দিয়ে নামিয়ে নিন।
৯। মাছের (রুই, কাতলা) মাথা দিয়ে মুগ ডাল রান্না :
উপকরণ –
- বড় একটা মাছের মাথা,
- মুগডাল,
- আদা,
- পেঁয়াজ কুচি,
- রসুন,
- ভাজা জিরে গুড়ো, হলুদ,
- তেজপাতা, নুন,
- সরষের তেল পরিমাণমত,
- কাঁচালঙ্কা,
- এলাজ,
- দারুচিনি,
- লবঙ্গ প্রত্যেকটি দুটো করে।
রান্না করার পদ্ধতি-
মাছের মাথাটা চার টুকরো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। কড়াইতে সামান্য সরষের তেল দিয়ে মুগডাল ভেজে নিন। গন্ধ বেরালে পরিমাণমত জল দিয়ে সেদ্ধ করুন।
ডাল সেদ্ধ হয়ে এলে পরিমাণমত আর একটু জল দিয়ে ফোটান। নুন, হলুদ, দিন।
ডাল ঢেলে রেখে কড়াই পরিষ্কার করে তেল দিয়ে মাছের মাথাটা ভালো করে ভেজে তুলুন। তারপর মাছের মাথাটা একটু থেঁতো করে নিন।
তেঁতো করা মাছের মাথাও ডালে দিন। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভাজা ভাজা করুন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে জিরে, তেজপাতা, গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন।
বেশ ভাজা গন্ধ বেরোলে ডাল দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে ভাজা জিরের গুড়ো দিয়ে নামিয়ে নিন।
১০। মাদ্রাজী ডাল বা সাম্বার :
উপকরণ –
- অড়হর ডাল ১০০ গ্রাম,
- ভিন্ডি ৩০ গ্রাম,
- ধনে -২০ গ্রাম,
- পেঁয়াজ – ৫০ গ্রাম,
- শুকনো লঙ্কা – ২-৩ টি,
- ছোট বেগুন-১টি,
- ছোলার ডাল। -১ চা চামচ,
- কলাইয়ের ডাল –১ চা চামচ।
- সজনে ডাটা – ৪৫ টি,
- হলুদ- সিকি চা চামচ।
- মেথী -১ চা চামচ,
- তেঁতুল গোলা – ১চা চামচ,
- হিং – আধ চা চামচ,
- নুন – আন্দাজ মত।
রান্না করার পদ্ধতি –
কারীপাতা – ১ ছড়া, শুকনো লঙ্কা – ২টি, সরষে — সিকি চা চামচ, মেথী – ‘ – সিকি চা চামচ, ঘি -১ চা চামচ, ছোট পেঁয়াজ -১ টি কুচাননা।
ডাল সেদ্ধ করে নিন। ডাল যেন পাতলা থাকে, এজন্য একটু বেশী জল দেবেন। ধনে,শুকনো লঙ্কা, ছোলার ডাল, হিং কলাইয়ের ডাল মেথী শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়িয়ে রাখুন।
তরকারি গুলি লম্বা করে সমান মাপে কেটে রাখুন। ডালের সঙ্গে সব সবজি, গুঁড়ো মশলা দিয়ে সবজি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত উনুনে বসিয়ে রাখুন। সেদ্ধ হলে, ওতে তেঁতুল গোলা দিয়ে একবার ফোটান।
আপনার রুচি অনুয়ায়ী টক দেবেন। ‘ অপর একটি পাত্রে ঘি গরম করে ফোড়নের সব মশলা ওতে দিন। পেঁয়াজ লালচে হলে ডাল। বা সাম্বারে ঢেলে দিয়ে নেড়ে চেড়ে নিন।
১১। মিকড় ডাল রান্না :
উপকরণ –
- ছোলা,
- মুগ ও কলাইয়ের ডাল প্রত্যেকটি এক কাপ করে।
- পেঁয়াজ কুচাননা- ২টি,
- লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ,
- আদা -১ টুকরো,
- জিরে-১ চামচ,
- হলুদ-আধ। চা চামচ,
- ঘি – ২ টেবিল চামচ,
- ধনেপাতা কুচি ও নুন,
- তেল।
রান্না করার পদ্ধতি –
৪ কাপ জল এবং হলুদ দিয়ে ডাল সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে ওতে নুন দিন। ডেকচিতে ঘি গরম করে, ওতে পেঁয়াজ কুচি ও আদা কুচি দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে, জিরে ও লঙ্কার গুঁড়ো দিন।
এবার সেদ্ধ করা ডাল ও ঘি দিয়ে সাঁতলে, ওতে ধনেপাতার কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
১২। ছানা দেওয়া মুগের ডাল :
উপকরণ –
- আস্ত মুগের ডাল হাফ কেজি,
- নারকেল কোরা আধমালা,
- পেঁয়াজ ২টি, মাঝারি,
- কাঁচালঙ্কা ৩টি,
- হিং ১/৪ চা-চামচ,
- ঘি- ২টেবিল চামচ,
- হলুদ ১/৪ চা-চামচ
- সর্ষে ১/২ চা-চামচ,
- লেবু ১টি,
- লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ,
- ছানা ২৫০ গ্রাম,
- নুন। আন্দাজমত।
রান্না করার পদ্ধতি –
ডাল একরাত ভিজিয়ে রাখবেন, পরদিন ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ফেলবেন। ঘি গরম করে মেথী ও হিং ফোড়ন দিন।
ফোড়ন হয়ে গেলে ডাল, পেঁয়াজকুচি, নারকেল কোরা, কঁচালঙ্কা, হলুদ ও সষে দিন।
একটু ভালোভাবে কষুন, ভাল গন্ধ বের হলে আন্দাজমত জল ও নুন দিয়ে দিন। এমন পরিমান জল দেবেন যাতে ডাল সেদ্ধ হতে হতে জল যেন শুকিয়ে যায়।
ডাল সেদ্ধ হয়ে যাবার পর টুকরো করে কাটা ছানা দিয়ে ভাজে নিন । লেবুর রস ও লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে দিন ।
১৩। মুগের ডালের মুড়িঘন্ট :
উপকরণ –
- ভাজা মুগের ডাল,
- রুই বা কাতলা মাছের মুড়ো,
- নুন,
- হলুদ,
- সরষের তেল,
- পেঁয়াজ,
- আদা,
- জিরে,
- তেজপাতা ফোড়ন,
- গরম মশলা।
রান্না করার পদ্ধতি –
ভাজা মুগের ডাল ঝেড়ে বেছে ধুয়ে বেশ ফুটন্ত জলে ছেড়ে দিয়ে আধ সেদ্ধ জলে নামিয়ে নেবেন।
রুই বা কাতলা মাছের মুড়ো ধুয়ে নুন, দিয়ে কষে ডালটা ঢেলে দেবেন। বেশ ভাল করে নাড়াচাড়া করে নেবেন।
এবারে কড়াইতে জিরে, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে সব ডাল ওতে ঢেলে দিন, ফুটে উঠলে নামিয়ে একটু গুঁড়ো গরম মশলা দেবেন। অবশ্য সম্ভব হলে কয়েকটা কিসমিস দিলে ভাল হয়।
১৪। মুসুর ডালের চচ্চড়ি :
উপকরণ –
- মুসুর ডাল,
- ঘি,
- গরম মশলা,
- আদা,
- পেঁয়াজ,
- রসুন,
- হলুদবাটা,
- নুন,
- মিষ্টি।
রান্না করার পদ্ধতি –
প্রয়োজন মত মুসুর ডাল দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর বেশ করে জল ঝরিয়ে নিন।
এরপর ঘিয়ে গরম মশলা থেঁতো, আন্দাজ মতো আদা, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদবাটা দিয়ে ডালের সঙ্গে কষে নেবেন।
তারপর জল দিয়ে নুন আর অল্প মিষ্টি দিন। ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে ঘন ঘন মতো হলে নামিয়ে ফেলবেন। গরম দিলে খেতে ভালই লাগবে।
১৫। ডিম দিয়ে ডালের কারি:
উপকরণ –
- ছোলার ডাল – ৫০০ গ্রাম,
- ডিম — ৬টি,
- আদা বাটা ২ চামচ,
- পেঁয়াজ – মাঝারি ৩টি বেটে নেবেন,
- গরম মশলা – ২ টি এলাচ,
- ২ টি লবঙ্গ , ২।
- টুকরো দারুচিনি,
- টম্যাটো বা ভিনিগার,
- ইচ্ছা হলে লঙ্কাবাটা বা কাঁচালঙ্কা,
- নুন,
- হলুদ,
- কারিপাতা,
- তেল – ২ বড় চামচ।
রান্না করার পদ্ধতি –
ডিমের খোলা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ডালের সঙ্গে সিদ্ধ করে নিন। তারপর তুলে, খোলা ছাড়িয়ে, গায়ে কটা দাগ কেটে, নুন মাখিয়ে লাল করে ভেজে রাখুন।
এবার গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে নুন, কারিপাতা বাদে, অন্য সব উপকরণ ভাল করে কষে নিন! যখন আর জল ছিটোবে না, তখন সিদ্ধ ডালটা জলশুদ্ধ ওতে ঢেলে দিন।
ফুটে উঠলে নুন আর কারিপাতা দিন। তারপর ডিমগুলি ছেড়ে দিন। মিনিট দুই বাদে নামিয়ে নিয়ে, ওপরে জিরে ভাজার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।
চিংড়ি মাছ দিয়েও এই ভাবে ডাল রাঁধা যায়। গন্দা, বান্দা, কুচো কিম্বা শুধু চিংড়ির মুড়ো দিয়েও চমৎকার খেতে হয়।
১৬। ডাল মাখানিঃ
উপকরণ –
- কড়াইয়ের ডাল ১২০ গ্রাম,
- রাজমা ৩০ গ্রাম
- নুন স্বাদমতো,
- মাখন ১০০ গ্রাম
- ক্রিম ৭৫ মিলি,
- প্রথমবার সাঁতলানো র জন্য ঘি ১২৫ গ্রাম,
- ২ টা (কুচোনো ) আদা ১ ইঞ্চি (কুচোনো )
- কাঁচালঙ্কা ৫টা (কুচোননা)
- টম্যাটো ১২৫ গ্রাম,(কুচোনো )
- শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো। ২ টেবিল চামচ,
- দ্বিতীয়বার সাঁতলানো র জন্য ঘি ২৪ গ্রাম,
- দারুচিনি ১ টেবিল চামচ,
- রসুন, অর্ধেকটা (কুচোনো )
- হিং ১ চিমটে, কসুরি মেথি ২ চামচ।
রান্না করার পদ্ধতি –
দু ধরনের ডাল একসঙ্গে কমপক্ষে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। পরের দুই লিটার জলে নুন দিয়ে ডাল সিদ্ধ করতে দিন।
সিদ্ধ হলে নামিয়ে ডালের কাটা বা খুন্তি দিয়ে ভালোভাবে ফাটিয়ে নিন। এবার প্রথম বার ঘি কড়াইয়ে ঢেলে আঁচে বসান এবং সাঁতলে নিন। ডাল গরম হলে পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে আদা, লঙ্কা দিয়ে দিন।
সােনালি করে ভাজা ভাজা হলে টম্যাটো দিয়ে নাড়াচাড়া করে রান্না হতে দিন, ভালো করে ভাজা হলে ডালের মধ্যে ঢেলে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে আঁচে বসান, ফুটে উঠলে দেখবেন, তেল ভেসে উঠবে। নামিয়ে নিন।
এইবার দ্বিতীয় বার সাঁতলানো র জন্য রাখা ঘি গরম করে তাতে দারু চিনি দিন। ধীরে ধীরে রসুন দিয়ে বাদামী করে ভেজে ডাল ঢেলে নিন।
কসুরী মেথি ও হিং দিয়ে নামান, মাখন ও ক্রিম ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
১৭। পাঞ্জাবী ডাল রান্না :
উপকরণ –
- আস্ত কড়াইয়ের ডাল ১৭০ গ্রাম,
- রাজমা ৬০ গ্রাম,
- হলুদ ১ চা-চামচ,
- তেজপাতা ২টি,
- কাঁচালঙ্কা ২ টি,
- লঙ্কাগুঁড়ো ১/৪ চা-চামচ,
- টম্যাটো ২ টি মাঝারী,
- কুচোন, টকদই ১/২ কাপ,
- পেঁয়াজ ২টি, কুচোনো ,
- আদা ১/২ টুকরো-কুচোনো
- ঘি ২/৩ টেবিল চামচ
- গোলমরিচের গুঁড়ো ১ চা-চামচ,
- লেবুর রস,
- নুন আন্দাজমত।
রান্না করার পদ্ধতি –
ডাল ও রাজমা ভাল করে ধুয়ে একরাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে হলুদ তেজপাতা কাঁচালঙ্কা ও লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে সেদ্ধ করুন।
প্রেশার কুকার ব্যবহার করলে দেড় লিটার জল দেবেন আর পঁচিশ মিনিট সেদ্ধ করবেন, সাধারণ ডেকচি ব্যবহার করলে জল। আর সময় দুই-ই বেশী লাগবে। কুকার খুলে নুন দিয়ে দিন।
আবার কুকার আঁচে বসিয়ে টম্যাটো কুচি দিয়ে ঢাকা দিন। টম্যাটো ভাল করে সেদ্ধ হয়ে গেলে। ফেটানো দই দিন। আঁচ কমিয়ে পাঁচ সাত মিনিট হলে নামিয়ে রাখুন।
একটি আলাদা পাত্রে পেঁয়াজ ও আদাকুচি ঘিতে ভেজে ডাল ঢেলে দিন। মিনিট পাঁচেক কম আঁচে ফোটান। ভাল করে যেন সব মিশে যায়। গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।
পরিবেশনের আগে লেবুর রস মিশিয়ে দেবেন।
১৮। শুকনো কলাই ডাল :
উপকরণ –
- গোটা কলাই ডাল- ২৫০ গ্রাম।
- পেঁয়াজ – ১ টি মাঝারি,
- ঘি বা বাদাম তেল -১৭৫ গ্রাম।
- জিরে -১/২ চায়ের চামচ।
- ধনের গুঁড়ো -১ চায়ের চামচ।
- নুন -আন্দাজ মতো।
- আদা – ছোট এক টুকরো।
- হলুদ-১/২ চায়ের চামচ।
- লঙ্কার গুড়ো -১ চায়ের চামচ।
রান্না করার পদ্ধতি –
ডাল বেছে, ধুয়ে ঠান্ডা জলে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ ও আদা সরু করে কেটে নিন। ডাল জল থেকে তুলে নিন।
এবার কড়াইতে ঘি গরম করে জিরে ভেজে নিন। তারপর জাল দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভাজতে থাকুন।
তারপর ধনে, নুন, আদা, হলুদ আর লঙ্কা দিয়ে আরো ৪/৫ মিনিট ভাজুন। ভাজা হলে এতটা জল দিন, যাতে ডালের উপরেও ১ ইঞ্চি মতো জল থাকে।
প্রথমে ফুটে উঠতে দিন, পরে আঁচ কমিয়ে যতক্ষণ না ডাল নরম হয়ে জল শুকিয়ে যায়, ততক্ষণ বসিয়ে রাখুন।
এবার আরেকটি বাসনে বড় চামচের ১ চামচ ঘি গরম করে কাটা পেঁয়াজ বেশ লাল করে ভেজে ডালের সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন।
১৯। ছোলার ডাল রান্না:
উপকরণ –
- ছোলার ডাল,
- ঘি,
- জিরে,
- ফোড়ন,
- তেজপাতা,
- নুন,
- মিষ্টি,
- পেঁয়াজ কুচো।
রান্না করার পদ্ধতি –
ছোলার ডাল সেদ্ধ করে একটি কড়াইতে ঘি দিয়ে জিরে ফোড়ন, তেজপাতা, নুন, মিষ্টি দিয়ে নাড়াচাড়া করে উপরে একটু পেঁয়াজ কুচো ভেজে ছড়িয়ে দেবেন, যাঁরা কাচা।
পেঁয়াজ পছন্দ করেন না তারা হিং দেবেন।
২০। মুড়ো দিয়ে ভাজা মুগের ডাল :
উপকরণ –
- কাৎলা মাছের মুড়ো ১ কিলো।
- ভাজা মুগের ডাল ৭৫০ গ্রাম।
- আদা বাটা ২ টেবিল চামচ,
- মাঝারি পেঁয়াজ বাটা ৪টি,
- রসুন থেঁতো করা ৩৪ কোয়া (এটা বাদ দিতে পারেন)।
- নুন ও হলুদ আন্দাজ মতো।
- তেজপাতা ৩৪ টি,
- ছোট এলাচ ২ টি,
- লবঙ্গ ২ টি,
- দারুচিনি ২ টুকরো।
- ভিনিগার বা তেঁতুল গোলা ১ বড় চামচ (এটাও বাদ দেওয়া যায়)।
- সরষের তেল দরকার মতো।
রান্না করার পদ্ধতি –
মুড়ো থেকে কাকো বাদ দিন। তারপর ধুয়ে, বড় বড় টুকরো করে কেটে, নুন-হলুদ দিয়ে অল্প সাঁতলে নিন। অনেকে কাচাও রাখেন। তবে টাটকা মাছ না হলে সাঁতলে নেওয়াই ভালো।
ডেকচিতে তেল গরম করে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা ও তেঁতো করা রসুন ফোড়ন দিয়ে, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভালোভাবে কষে নিন।
এবার ওতে ওই মুগের ডাল দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে পরিমান মতো জল ঢেলে দিন। ফুটে উঠলেই ওতে মাছের মুড়োটা দিয়ে দিন। এরপর ভিনিগার বা তেঁতুল গোলা ঢেলে দিন।
ডাল সেদ্ধ হয়ে মুড়ো সেদ্ধ হলে, খুন্তি দিয়ে মুড়োটা ভেঙ্গে নিন। তারপর নামিয়ে জিরে ভাজার গুঁড়ো দিতে পারেন।
২১। মকাই কা ডাল রান্না:
উপকরণ –
- গোটা কড়াইয়ের ডাল ২০০ গ্রাম,
- রাজমা ৫০ গ্রাম,
- টম্যাটো পিউরি ৫-৬ টেবিল চামচ,
- টকদই ১০০ গ্রাম,
- ফ্রেশ ক্রিম ১০০ গ্রাম,
- লঙ্কাবাটা ১/২ চা চামচ,
- আদাকুচি ১ টেবিল চামচ,
- রসুনকুচি ১ চা চামচ,
- ঘি ১ টেবিল চামচ,
- নুন আন্দাজমত।
রান্না করার পদ্ধতি –
কড়াইয়ের ডাল ও রাজমা প্রেশার কুকারে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে রসুন ও আদাকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন।
ভাজা ভাজা হলে নুন ও টম্যাটো পিউরি দিন। ফুটে উঠলে ডাল ঢেলে ফুটতে দিন। টক দইয়ে লঙ্কাবাটা মিশিয়ে ফেটিয়ে ডালে ঢালুন। নামাবার আগে ক্রিম ঢেলে নামিয়ে নিন।
২২। কিমা ডাল :
উপকরণ –
- ছোলার ডাল ১০০ গ্রাম,
- মাংসের কিমা ২০০ গ্রাম,
- পেঁয়াজ ৪ টে (দুটো কুচাননা ও দুটো কুরননা),
- রসুনবাটা ৪-৫ কোয়া,
- আদাবাটা ২৫ গ্রাম,
- টকদই ১০০ গ্রাম,
- শুকনো লঙ্কা ১-২ টি,
- গরম মশলা সামান্য,
- চিনি সামান্য,
- সরষের তেল পরিমানমত,
- ভিনিগার ১ টেবিল চামচ,
- ঘি ও নুন পরিমানমত।।
রান্না করার পদ্ধতি –
ভালোভাবে ছোলার ডাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। এরপর কিমার মধ্যে সামান্য ভিনিগার ঢালুন। কড়াই আঁচে বসিয়ে তেল ঢেলে দিন।
তেল গরম হলে তাতে অর্ধেক পরিমান পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন।
তারপর এতে আদাবাটা, রসুন, বাকি পেঁয়াজ ও কিমা দিয়ে কয়েক মিনিট ধরে ভালোভাবে কষতে থাকুন।
তারপর টকদই দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। তারপর নুন, চিনি দিন। পরিমান মত জল দিয়ে সেদ্ধ করুন।
ফ্রাইপ্যানে ঘি দিয়ে আঁচে বসান। ছোলার ডালে ঘি দিয়ে ভাল করে ভাজুন। আন্দাজমত জল ঢেলে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হলে। নামিয়ে দিন।
কড়াইতে তেল দিয়ে তেজপাতা ফোড়ন দিন। প্রথমে ডাল ও পরে সেদ্ধ কিমা দিয়ে। নাড়তে থাকুন যাতে কড়াইয়ের তলা ধরে না যায়।
নামাবার আগে গরম মশলা ও বাকি ঘি দিয়ে। ঢাকা দিন। ঢাকা থাকতেই নামিয়ে দিন।
২৩। ডাল ধোকলি:
উপকরণ –
- অড়হর ডাল ৫০ গ্রাম,
- তেঁতুলগোলা ছোট ১ চামচ,
- লঙ্কাগুঁড়ো ছোট ২ চামচ,
- হলুদগুঁড়ো ছোট ২ চামচ,
- গুড় ছোট ২ চামচ,
- নারকোল কুরানো ছোট ২ চামচ,
- মেথি ১/২ চা চামচ,
- জিরে ১/২ চা চামচ,
- সরষে ১/২ চা চামচ,
- হিং ১ চিমটে,
- আটা ১০০ গ্রাম,
- বাদাম তেল ২ চা চামচ,
- নুন পরিমাণমত।
রান্না করার পদ্ধতি –
প্রেসারকুকারে অড়হর ডাল সেদ্ধ করুন। একটা পাত্রে আটা, অর্ধেক হলুদগুঁড়ো, একটু তেল, অর্ধেকটা লঙ্কাগুঁড়ো, নুন একসঙ্গে মেখে রাখুন।
এর থেকে পাঁচটা লেচি কেটে পাতলা করে রুটির মত বেলে নিন। বেলে রাখা গোল গোল রুটির উপরে ছুরি দিয়ে দাগিয়ে বরফির আকারে কাটুন।
একটা পাত্রে দেড় লিটার জল, ডাল, কারিপাতা, নুন, বাকি হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, গুড় ও তেঁতুলের জল দিয়ে আঁচে চাপান ফুটতে দিন।
মিনিট পাঁচ সাতের ফোটার পর বরফিগুলো দিয়ে আরও পাঁচ সাত মিনিট ফোটান।
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে মেথি, জিরে ও হিং ফোড়ন দিয়ে তেঁতুল গোলা সমেত বরফির টুকরোগুলোতে ঢেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।